বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, কুনমিং, চীন এ যথাযথ মর্যাদা ও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৪ উদযাপিত।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, কুনমিং, চীন এ যথাযথ মর্যাদা ও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৪ উদযাপিত।  

কুনমিং, চীন, 26 মার্চ ২০২4

 

বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, কুনমিং, চীন -এ যথাযোগ্য মর্যাদা এবং ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ৫৩ তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন করা হয়।

স্বাধীনতার প্রথম প্রহরে কনসাল জেনারেল জনাব জকি আহাদ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল এর সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সহ জাতীয় পতাকা অনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলনের মাধ্যমে এ দিবসের কর্মসুচি সূচনা  করেন। এসময় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, ২০২৪ উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।   

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৪ উপলক্ষে কূটনৈতিক অভ্যর্থনার (diplomatic reception) আয়োজন করা হয় কুনমিং, চীন এর বিখ্যাত শাইনিং স্টার হটস্প্রিং হোটেলে । উক্ত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল এর অধিক্ষেত্রাধিন প্রদেশের নের্তৃত্ব স্থানীয় ব্যক্তিত্ব, পররাষ্ট্র, শিক্ষা, বাণিজ্য, সংস্কৃতি, ইমিগ্রেশেনসহ বিভিন্ন দফতরের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, কুনমিংয়ে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কনসাল জেনারেল ও কূটনীতিকগণ, স্থানীয় উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, শিক্ষক, গবেষক, সংস্কৃতিকর্মীসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। 

উক্ত কূটনৈতিক অভ্যর্থনা (diplomatic reception) অনুষ্ঠান বাংলাদেশে ও চিনের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন এর মাধ্যমে শুরু করা হয়। অনুষ্ঠানের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকল শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

 কনসাল জেনারেল জনাব জকি আহাদ আগত অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে অতিথিদের শুভেচ্ছা জানিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরে ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশের বার্তার বিষয়টি জোড়ালোভাবে প্রকাশ করেন। তিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গণে বাংলাদেশের ভূমিকা, বিশেষ করে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণের বিষয়টি উল্লেখ করেন। অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অভাবনীয় অর্জনের বিষয়টি তিনি আগত অথিতিদেরতি মাঝে তুলে ধরেন। বাংলাদেশ ও চীন সরকারের মধ্যে বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে কনসাল জেনারেল তাঁর বক্তব্যে দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতার সম্ভাবনা উন্মুক্ত করার উপর জোর দেন। কনসাল জেনারেল জনাব জকি আহাদ তাঁর তথ্যবহুল বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে উপস্থিত অথিতিদের নিকট বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস ও সংস্কৃতির সঠিক উপস্থাপন করেন।  

অনুষ্ঠানের ধারাবাহিকতায় কনসাল জেনারেল জনাব জকি আহাদ আগত অতিথি ও বাংলাদেশি এবং চীনা শিশুদের নিয়ে বাংলাদেশ ও চীনের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের প্রতীক হিসেবে কেক জোড়া দেয়ার আনুষ্ঠানিকতা পালন করেন যা উপস্থিত অথিতিদের আবেগাপ্লুত করে তোলে।

অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি তুলে ধরে স্থানীয় ইউনান বিশ্ববিদ্যালয় ও ইউনান মিনযু বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে অধ্যায়নরত চীনা ছাত্র-ছাত্রীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের সুস্বাদু চাইনিজ খাবারের মাধ্যমে ইফতার ও রাতের খাবার পরিবেশন করা হয়। অধিকন্তু, আগত অথিতিদের আপ্যায়ন করানোর পাশাপাশি বিশেষ উপহার প্রদান করা হয়। পুরো অনুষ্ঠান জুড়েই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক, পর্যটন ও বৈশ্বিক অর্জন তুলে ধরে নির্মিত ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়।


বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল

কুনমিং, চীন।